দেশের আলো রিপোর্ট
ঈদকে সামনে রেখে ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর রেলস্টেশন, জোড়াপুল, ব্যাংক কলোনী, পিলকুনীসহ আশপাশে এলাকার মাদক ব্যবসায়ীরা সংঘবদ্ধ হয়ে মজুদ করছে হেরোইন, গাঁজা, ফেনসিডিল, ইয়াবা ট্যাবলেটসহ বিদেশী মদ-বিয়ার। স্থানীয়দের তথ্য মতে, ফতুল্লার দাপা-শিয়াচরের বালুর মাঠ, রেলস্টেশন, জোড়পুল, পিলকুনী,মাদ্রাসা রোড, আদর্শ স্কুল গলি,নতুন ক্যালিক্স-পুরাতন ক্যালিক্স স্কুল গলি, খাঁ বাড়িসহ আশপাশে এলাকার ছোট বড় সকল মাদক ব্যবসায়ীরা ঈদকে সামনে রেখে অধিক লাভের আশায় মজুদ করতে শুরু করেছে মাদক। নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র মতে,কয়েক দিনে বেশ কয়েকটি মাদকের চালান এসেছে দাপা রেলস্টশন এলাকার সাইকেল লিটনের পুত্র রিফাত ওরফে ভাতিজা রিফাত, গরু নাসিরের পুত্র শান্ত ও জাকিরের সমম্বয়ে গড়ে উঠা সিন্ডিকেটের নিকট। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত ডাকাত লিপুর ভাই শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ডাকাত শাহিন ও তার ভাতিজা আলামিনের নিকট ৩ দিনে একাধিক হিরোইনের চালান এসেছে বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। স্থানীয়রা জানায়, ডাকাত শাহিন ও ভাতিজা আলামিনের হয়ে মাদক বেচা-কেনায় সক্রিয় রয়েছে প্রায় অর্ধ শতাধিক সেলসম্যান। আইন-শৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান কখনো কখনো মাদক নিয়ে গ্রেফতার হলেও এই ২ শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী রয়ে যায় প্রশাসনের ধরা ছোঁয়ার বাইরে। অপরদিকে রেলস্টেশন মসজিদের পেছেনের বালুর মাঠ,আজাদ মিয়ার গলি,ওরিয়েন্টাল বালুর মাঠ এলাকায় শান্ত,ভাতিজা রিফাত ও জাকিরের নেতৃত্বে গড়ে উঠা মাদক সিন্ডিকেটে প্রায় ২০-২৫ জনের সদস্য রয়েছে। এরা খুচড়া হিসেবে স্থানীয় মাদক সেবীদের নিকট তা সরবরাহ করে থাকে। এই মাদক বাজারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রতিপক্ষ একাধিক গ্রæপের সাথে প্রায় সময় সংঘর্ষ হয়। ১০-১২ দিন পূর্বে এই মাদক স্পটের সামনেই সিনিয়র-জুনিয়র দ্ব›েদ্ব খুন হয় এক কিশোর। এরপর শান্ত,ভাতিজা রিফাত ও জাকির আত্মগোপনে চলে যায়। পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে তারা এলাকায় ফিরে এসে আবারো মাদক কারবারে সক্রিয় হয়ে পড়েছে। স্থানীয় একাধিক মহলের মতে, মাদক বাজার নিয়ন্ত্রণে তাদের রয়েছে উঠতি বয়সী এক শ্রেণির মাদকাসক্ত সন্ত্রাসী বাহিনী। তাদের নিকট থেকে সুবিধা নিয়ে সকল প্রকার সহোযোগিতা করে আসছে বিশেষ পেশার একাধিক ব্যক্তিসহ থানা পুলিশ এর একাধিক সোর্স এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়বাসীর।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।